এবিএনএ : বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শক্রবার বিশ্ব ধরিত্রি দিবস পালিত হয়েছে। পৃথিবীকে মানুষের বসবাসযোগ্য রাখতে প্রতিবছর এই দিনে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘পৃথিবীর জন্য বৃক্ষ’। বৃক্ষের সঙ্গে মানুষের জীবন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ফলদ বৃক্ষ আমাদেরকে বহুকাল জীবন ধারনের উপযোগিতা দান করে। সেই হিসাবে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য যথার্থ হয়েছে বলছেন পরিবেশবিদরা।
দিবসটি উপলক্ষে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ‘মৌসুমী ফল উৎপাদনে বিষ, বিপন্ন মানুষ-বিপন্ন প্রকৃতি’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। শক্রবার সকাল ১১টায় পবা কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদ (বিএআরসি) এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. খালেকুজ্জামান আকন্দ চৌধুরী, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. ফরমুজুল হক প্রমুখ।
আলোচনা সভায়, খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি উৎপাদন থেকে যোগানের প্রতিটি ধাপে পরিবেশ সম্মত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, খাদ্যে ক্ষতিকর সকল ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ করা, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এবং ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৫ দ্রুত বাস্তবায়ন করা, প্রতি জেলায় খাদ্য আদালত স্থাপন এবং জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক খাদ্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা, প্রতিটি জেলায় কৃষি আদালত গঠন করাসহ ১০ দফা সুপারিশ করা হয়।
এদিকে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে পরিবেশরক্ষায় কর্মরত সংগঠন নোঙর, গ্রিন বাংলা কোয়ালিশন ও গ্রিন স্টেপস পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অপরিকল্পিত নগরায়ন, মানুষের লোভ, ভূমিদস্যুতা ও জঙ্গি-আগুনসন্ত্রাসকে পরিবেশের মহাশত্রু হিসেবে বর্ণনা করে পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ ও নদীরক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেন।
জাতিসংঘ নির্ধারিত দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ধরিত্রীর জন্য বৃক্ষ’ এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নোঙর ও গ্রিন বাংলা কোয়ালিশন আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘প্রতিজনে একটি গাছ লাগাতে হবে। গাছ যেমন পরিস্কার বায়ু, খাদ্য, রোজগার ও জ্বালানী দেয় তেমনি পরিবেশকে টেকসই করে, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে দারিদ্র্য কমাতেও সাহায্য করে।’